মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | Hooghly: বাড়ির দেওয়ালে 'জয়' লেখা সার্থক হল

Pallabi Ghosh | ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৫ : ৪৪Pallabi Ghosh


বিভাস ভট্টাচার্য, পুরশুড়া: হালকা কুয়াশা কিছুটা ঢেকে রেখেছে ল্যাম্পপোস্টের আলোটাকে। কিন্তু আবছাভাবে পড়লেও প্লাস্টার চটা দেওয়ালের লেখাটা কিন্তু ঠিকই পড়া যাচ্ছে, "জয়"। দেওয়ালের ওই পারে চলছে "দেবতা"র কাছে প্রার্থনা। এই বাড়িটা জয়দেব প্রামাণিকের বাড়ি। চুন দিয়ে ঘরের বাইরের ওই দেওয়ালে নিজের নামের প্রথম দুটো শব্দও তাঁর লেখা। আগেরবার বাড়ি এসে লিখেছিলেন। জয়দেব উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে একজন। তাঁর বাড়িতে টেলিভিশন নেই। তাই মোবাইল ফোনেই টিভি চ্যানেলে এই ১৭ দিন চোখ রেখে বসে থেকেছেন তাঁর মা তপতী প্রামাণিক। ছোট্ট খুপরি ঘরে মা"র পাশে ভিড় করে আছেন আত্মীয় প্রতিবেশীরা। তবে মঙ্গলবার চিন্তাটা অনেকটাই কম। কারণ, সুড়ঙ্গের ভেতরে সকলের সুস্থ থাকার খবর তিনি জেনে গিয়েছেন। সুস্থ অবস্থায় বের করে নিয়ে আসাও হয়েছে সবাইকে। এবার শুধু প্রতীক্ষা ছেলের ঘরে ফেরার খবরের জন্য।
সকালে উত্তরকাশীতে থাকা এক আত্মীয় মারফত উদ্ধারের শেষ পর্যায়ের খবর কানে আসতেই আর দেরি করেননি। দ্রুত পুজোপাঠ সেরে বসে পড়েছেন মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে। যেই ঘরটায় তিনি বসেছিলেন সেই ঘরটাও জয়দেবেরই ঘর। সকাল সাড়ে আটটা থেকে সেখানেই ঠায় বসে মোবাইলে চোখ পেতেছেন। জয়দেবের খুড়তুতো ভাই অভি জানিয়েছেন, কাকিমাকে জোর করে একটু ওআরএস এবং কিছুটা মুড়ি খাওয়ানো হয়েছে। তিনি উঠতেই চাইছেন না। খুব দরকার না পড়লে কথাও বলছেন না। বাবা তাপস প্রামাণিকের একটা ছোট চায়ের দোকান আছে। বাড়ির কাছে খুশিগঞ্জ রোডের ধারে। ছেলের আটকে পড়ার পর থেকেই দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। মাঝে জোর করে তাঁকে দিয়ে দোকান খুলিয়েছিলেন তাঁর কিছু আত্মীয়, বন্ধুরা। উদ্দেশ্য অন্যমনস্ক রাখা। ছেলে উদ্ধার হতে পারে এই খবর শোনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিনি দোকানটা নিজের উদ্যোগেই খুলেছেন। কারণ, দোকানের ওপর সংসার অনেকটাই নির্ভরশীল। তাপস জানান, "আমি আশা কখনও ছাড়িনি। কিছু না কিছু একটা হবেই ভেবে মন শক্ত করতে চেয়েছি। ওর মা"কেও সে কথা বলেছি। আজ সকাল থেকেই মনটা কিছুটা হাল্কা। কিন্তু ওই যে বলে নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত বিশ্বাস নেই।"
হুগলি পুড়শুড়ার নিমডাঙি এলাকার জয়দেব ছাড়াও উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন ওই এলাকার হরিণাখালি অঞ্চলের সৌভিক পাখিরা। তাঁর বাবা অসিত পাখিরা এবং মা লক্ষ্মী পাখিরার চোখও মোবাইল ফোনে আটকে আছে। কথাবার্তা কারও সঙ্গে বিশেষ বলছেন না। এদিন সকাল থেকেই তাঁরাও অনেকটাই আশ্বস্ত। সন্ধের পর এক এক করে বেরিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। একসময় দেখা গেল জয়দেব আর সৌভিককে। দুই মা আর দুই বাবার চোখে জল খুশিতে।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

জাস্টিস ফর আরজি কর কর্মসূচিতে তরুণীর সঙ্গে আলাপ ও বন্ধুত্ব, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ‘‌প্রতিবাদী’‌...

শ্রমিকদের হাতে খুন সুপারভাইজার, উত্তেজনা জুপিটার কারখানায়...

নারী নিরাপত্তাই মূল উদ্দেশ্য, মহিলা টহল ভ্যান চালু করল কোচবিহার জেলা পুলিশ...

৩০০ বছর ধরে এই জমিদার বাড়িতে চলছে দুর্গাপুজো, মা দুর্গার সঙ্গে পূজিত হচ্ছেন রাম-সীতাও...

বজ্রপাতে নষ্ট ট্রলারের ওয়্যারলেস, নিখোঁজ ৪৯ জন মৎস্যজীবী-সহ তিনটি ট্রলার...

ধূপগুড়িতে দেশী বাজনার প্রতিযোগিতা, তুলে ধরা হল রাজবংশী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি...

রবিবারেও ভাসছে বাংলা, সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি দক্ষিণবঙ্গে...

মাকে বাঁচিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোর ছেলের মৃত্যু ...

বিজেপির বড়সড় ভাঙন মথুরাপুরে! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে...

উর্বরতার উৎসবে সাতদিনের ব্রত, ডায়না-জলঢাকায় বিসর্জন করম পূজার...

ডাইনি সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে খুন, হাড়হিম ঘটনা বীরভূমে...

শুরু হল আজকাল প্রোপার্টি ফেয়ার, প্রথম দিনেই অপ্রত্যাশিত সাড়া...

আজ থেকে হাওড়া-তারকেশ্বর এবং আরামবাগ শাখায় বন্ধ থাকছে ৮টি লোকাল ট্রেন ...

জনসাধারণকে উৎসবে, জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান তৃণমূল সাংসদ রচনার ...

জেলা লোকশিল্পী সম্মেলন হল হুগলিতে



সোশ্যাল মিডিয়া



11 23